You are currently viewing ‘এফবিসিসিআইয়ের নেতৃত্বে দেশজুড়ে ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন: জাতির জনকের প্রতি অবমাননা বাংলাদেশের বেসরকারি খাত মেনে নেবে না’

‘এফবিসিসিআইয়ের নেতৃত্বে দেশজুড়ে ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন: জাতির জনকের প্রতি অবমাননা বাংলাদেশের বেসরকারি খাত মেনে নেবে না’

  • Post comments:0 Comments

এফবিসিসিআইয়ের নেতৃত্বে দেশজুড়ে ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন

জাতির জনকের প্রতি অবমাননা বাংলাদেশের বেসরকারি খাত মেনে নেবে না

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর অবমাননার প্রতিবাদে দেশের শীর্ষ বাণিজ্যিক সংগঠন ফেডারেশন অফ বাংলাদেশ চেম্বার্স অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) ডাকে ব্যবসায়ীরা আজ শনিবার (১২ ডিসেম্বর) দেশজুড়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে। রাজধানীর মতিঝিলে শাপলা চত্বরে এফবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট শেখ ফজলে ফাহিমের নেতৃত্বে সকাল ১১.৩০টা থেকে ১২.৩০ পর্যন্ত আয়োজিত মানবন্ধনে এফবিসিসিআইয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট, ডিরেক্টর, সদস্য সংগঠন ও চেম্বারের নেতাসহ সর্বস্তরের ব্যবসায়ীরা অংশ নেন। এছাড়া একই সময়ে দেশের সব মহানগর ও জেলা শহরগুলোয় একসঙ্গে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। এসব মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা এফবিসিসিআই ক্লাউড কনফারেন্সের মাধ্যমে শাপলা চত্বরে যুক্ত হয়ে সমস্বরে প্রতিবাদ জানায়।

মানববন্ধন কর্মসূচি পালনকালে এফবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, আজ বাংলাদেশের ব্যবসায়ী খাতের সকল সংগঠন সমাবেত হয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবমাননার প্রতিবাদ জানানোর জন্য। জাতির জনকের প্রতি অবমাননা বাংলাদেশের বেসরকারি খাত কখনো মেনে নেবে না।

তিনি বলেন, ৩০ লাখ শহীদ ও দুই লাখ মা-বোনের ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে স্বাধীনতা। দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে মুজিব ভাই বঙ্গবন্ধু হয়ে উঠেছিলেন। অথচ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগেস্টের পর বঙ্গবন্ধুর নামটাই বাংলাদেশ থেকে মুছে দেয়ার অপপ্রয়াস চালানো হয়েছিল। কিন্তু এসব অপচেষ্টা কখনো সফল হয়নি, হবে না।

তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর প্রাক্কালে একটি শ্রেণী বাংলাদেশের যুবসমাজকে ভুল পথে পরিচালিত করার জন্য, ভুল শিক্ষা দেয়ার জন্য অপপ্রয়াস চালাচ্ছে। তাদের সেই দুরাভিসন্ধি কখনো সফল হবে না।

এফবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট বলেন, বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ। উনার রোপন করা সোনার বাংলা আজ বিস্তার লাভ করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০০৮ সাল থেকে উন্নয়নের পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে। আজকে সারা দেশ থেকে বেসরকারি খাতের যারা এখানে সমাবেত হয়েছে, তারা এই অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এই অগ্রগতির পথে যারা বাধা হয়ে দাঁড়াবে, স্বাধীনতার বিপক্ষে অবস্থান নেবে, তাদের সবার জন্য আজকের এই মানববন্ধন একটি সতর্কবাণী।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ জনগণের চেষ্টায় আল্লাহ সুবহানাল্লাহ তায়ালার রহমতে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
আমরা সম্মানিত আলেমদের শ্রদ্ধা করি। কিন্তু তাদের লেবাস পড়ে কোন স্বার্থান্বেষী মহলকে বঙ্গবন্ধুকে অবমানননা, ধর্মকে ব্যবহার করে তাদের ব্যক্তিগত বা গোষ্ঠীগত স্বার্থ হাসিল করতে দেয়া হবে না।

শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, জাতির জনককে যারা অবমাননা করবে, তাদের চাল-ডালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সরবরাহ বন্ধ করে দেয়ার ক্ষমতা বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের আছে। তবে আমরা বিশ্বাস করি যারা বঙ্গবন্ধুকে অবমাননার ধৃষ্টতা দেখাবে, রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডের দুঃসাহস দেখাবে নিশ্চয় সরকার তাদের বিরুদ্ধে সংবিধান ও আইনানুয়ায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেবে।

রিহ্যাবের সভাপতি আলমগীর শামসুল আলামিন, বঙ্গবন্ধুতে আঘাত করা মানে স্বাধীনতাকে আঘাত করা, দেশকে আঘাত করা। যারা এ ধরনের কর্মকাণ্ড করে, আমরা অবশ্যই তাদের খুঁজে বের করব।

বায়রার প্রেসিডেন্ট বেনজীর আহমেদ, এমপি, বলেন, একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এ ধরনের উদ্যোগ নেয়ার জন্য এফবিসিসিআইকে ধন্যবাদ জানাই। পাকিস্তানী দোসরদের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে আমরা লড়ে যাব।

বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি এস এম মান্নান কচি বলেন, যারা একদিন স্বাধীনতা চাইনি, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে, তারাই ষড়যন্ত্র করে ১৯৭৫ সালে বাঙ্গালী জাতির মহানায়ককে হত্যা করেছিল। স্বাধীন বাংলাদেশে দাঁড়িয়ে তারা আজো ধর্মের নামে ষড়যন্ত্র করছে। আমরা যারা স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাসী তারা কখনো এটা সহ্য করবো না।

বাংলাদেশ ডাইড ইয়ার্ন এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সালাউদ্দিন আলমগীর বলেন, বাংলাদেশ একটি ছোট দেশ হয়েও দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে আমাদের রিজার্ভ ৪২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর কিছুদিনের মধ্যেই তা ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মাইলফলক স্পর্শ করবে। সেই দেশে কোন অপশক্তির অপপ্রয়াস গ্রহণযোগ্য নয়। যদি ব্যবসায়ীরা চায়, তাহলে কালকে থেকে আপনার ঘরে লবণ পৌঁছাবে না, চিনি পৌঁছাবে না।এফবসিসিআই প্রেসিডেন্ট শেখ ফজলে ফাহিমের নেতৃত্বে ব্যবসায়ীরা দেশবাসীর পক্ষ থেকে সকল অপশক্তিকে প্রতিরোধ করবে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন চেম্বারের সভাপতি নিহাদ কবির বলেন, যারা বঙ্গবন্ধুকে অবমাননা করে তাদের সতর্ক করে বলছি, এ ধরনের ধৃষ্টতা দেখাবেন না। আমরা তা মেনে নেব না।

বাংলাদেশ স্টিল ম্যানুফাকচারারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মনোয়ার হোসেন বলেন, আমি বঙ্গবন্ধুকে অবমাননার তীব্র প্রতিবাদ জানাই। যাদের সন্তানরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদেরকে বলতে চাই, আপনার যে সন্তান জাতির পিতাকে সম্মান দিতে জানে না, সে সন্তান আপনাকেও সম্মান দেবে না।

প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরী বলেন, আমাদের একমাত্র এজেন্ডা হওয়া উচিত বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুকে অবমাননার কোন স্থান হবে না।

বিটিএমএ সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন বলেন, ধর্মকে পুঁজি করে একটি মহল বাংলাদেশে অরাজকতা সৃষ্টি করতে চাইছে। আমার ব্যবসায়ী মহল তা হতে দেব না।

ঢাকা চেম্বারের সভাপতি শামস মাহমুদ, বঙ্গবন্ধুকে অবমাননার তীব্র নিন্দা জানাই।

বিজিএমইএর সভাপতি পদপ্রার্থী ফারুক হোসেন বলেন, বাংলাদেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে, তখন একটি মহল তাতে বাধা হয়ে দাঁড়াতে চাইছে। আমরা তা মেনে নেব না।

এফবিসিসিআইয়ের ভাইস-প্রেসিডেন্ট রেজাউল করিম রেজনুর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম ও রাজশাহী চেম্বারের সভাপতি মনিরুজ্জামন মনি ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন। এছাড়া মানববন্ধনে এফবিসিসিআইয়েরে সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট মুনতাকিম আশরাফ, ভাইস প্রেসিডেন্ট নিজামুদ্দিন রাজেশসহ, ডিরেক্টর সুজীব রঞ্জন দাশ, মনির হোসেন, প্রবীর কুমার সাহা, তাবারুকুল তোসাদ্দেক হোসেন খান টিটু, আবুল আয়েস খান, এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, মো. নিজাম উদ্দিন, খন্দকার মঈনুর রহমান (জুয়েল), হুমায়ুন রশিদ খান পাঠান, রিয়াদ আলী, মেহেদী আলী, আবদুল হক, সাদাত আলমাস কবির, প্রীতি চক্রবর্তীসহ খাত ভিত্তিক বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা অংশ নেন। আর জেলা পর্যায়ে আয়োজিত মানববন্ধনে স্থানীয় চেম্বারের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.