You are currently viewing বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সম্প্রসারণের টেকসই বৈশ্বিক ভিত্তি তৈরি করে দিয়ে গেছেন বঙ্গবন্ধু: এফবিসিসিআই সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন।

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সম্প্রসারণের টেকসই বৈশ্বিক ভিত্তি তৈরি করে দিয়ে গেছেন বঙ্গবন্ধু: এফবিসিসিআই সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন।

  • Post comments:0 Comments

 

২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখে নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশী ইমিগ্র্যান্ট ডে’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় এমন মন্তব্য করেছেন এফবিসিসিআই সভাপতি জনাব মোঃ জসিম উদ্দিন। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, জাতিসংঘে প্রথম বাংলা ভাষায় দেয়া ঐতিহাসিক ভাষণে, অর্থনৈতিক মুক্তি ও সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করে শান্তিপূর্ণ নতুন বিশ্ব গড়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। জাতির পিতা তাঁর বিচক্ষণ ও দূরদর্শী চিন্তা চেতনার মাধ্যমে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, কারিগরি ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্পর্ক গড়ে তুলতে উদ্যোগী হন। বঙ্গবন্ধুর সাড়ে তিন বছরের শাসনামলে, জাতিসংঘ, আঙ্কটাড, কমনওয়েলথ, ওআইসি, আইডিবি ও জোট নিরপেক্ষ রাষ্ট্রের সদস্য পদ লাভ করে বাংলাদেশ। আর এর মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সম্প্রসারণের টেকসই আন্তর্জাতিক ভিত্তি দাঁড় করিয়ে দিয়ে গেছেন স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, সুদুরপ্রসারী পরিকল্পনা ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু যখন জাতিকে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্তির স্বপ্ন পূরণের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন, তখনই বিশ্বের ইতিহাসের নৃশংসতম চক্রান্তের মাধ্যমে হত্যা করা হয় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালীকে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন নির্মূলের চেষ্টা করা হয়েছিলো। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে, তাঁর আদর্শ, নীতি ও প্রদর্শিত পথের মাধ্যমেই দেশকে অগ্রগতির পথে নিয়ে চলেছেন তাঁরই সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু কন্যার দূরদর্শী নেতৃত্বে, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশ হবার যোগ্যতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। ডিজিটাইজেশন, শিল্পায়ন এবং মানবসম্পদ ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ।

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার স্বপ্ন পূরণে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ সঠিকভাবে চিহ্নিত করে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সরকার ও বেসরকারি খাত একসঙ্গে কাজ করছে। তিনি আশা করেন, অতীতের মতো, ভবিষ্যতেও সরকারি-বেসরকারি যৌথ প্রচেষ্টায় সব চ্যালেঞ্জ উতরে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে।

মুক্তধারা ফাউন্ডেশন আয়োজিত বাংলাদেশী ইমগ্র্যান্ট ডে’র অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন এম.পি.। আরো উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই-এর সিনিয়র সহ-সভাপতি জনাব মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, সহ-সভাপতি জনাব সালাহউদ্দিন আলমগীর, এফবিসিসিআই-এর সাবেক সভাপতি জনাব মোঃ শফিউল ইসলাম (মহিউদ্দিন), এমপি, ও বিজিএমইএ’র সভাপতি জনাব ফারুক হাসান।

বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক ২৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৭৪ তারিখে জাতিসংঘে বাংলা ভাষায় দেয়া ঐতিহাসিক ভাষনের সম্মানে নিউইয়র্ক স্টেট আইন পরিষদ এই দিনটিকে (২৫ সেপ্টেম্বর) ‘বাংলাদেশী ইমিগ্রান্ট ডে’ হিসেবে উদযাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এবছর ৩য় বারের মতো দিবসটি উদযাপন করা হয়েছে।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.