বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে ওমানের শিল্পোদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান এফবিসিসিআই সভাপতির।
সোমবার (সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২১) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ-ওমান দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ: চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা শীর্ষক ওয়েবিনারে এ আহ্বান জানান ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই’র সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন। মুজিব বর্ষ ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে এ ওয়েবিনারের আয়োজন করে ওমানের মাস্কাটে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদশ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী ড. এ.কে. আব্দুল মোমেন এমপি. তিনি বলেন, ওমান-বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অনেক মিল থাকার পরেও, দুদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক ততটা জোরালো নয়। এ সময় তিনি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন এবং বিভিন্ন সম্ভাবনাময় খাতে ওমানের ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
অনলাইন সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআই সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন। তিনি জানান, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে, নির্দিষ্ট খাতে কর অবকাশ সুবিধা, ক্যাপিটাল মেশিনারি ও শিল্প কাঁচামালে হ্রাসকৃত হারে আমদানি শুল্ক, বন্ডেড ওয়্যারহাউজ লাইসেন্স, রপ্তানিমুখী শিল্পে নগদ সহায়তাসহ নানা ধরনের সুবিধা দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। ফলে এই অঞ্চলে, বিশ্ব বিনিয়োগকারীদের সবচেয়ে সহজ ও লাভজনক গন্তব্যে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ।
কোভিড মহমারীর মধ্যেও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি থেমে থাকেনি জানিয়ে, এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বে, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশ হবার সব শর্ত পূরণ করেছে। ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যও অর্জিত হবে বলে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন এফবিসিসিআই সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন।
এই উন্নয়নযাত্রায় ওমানকে অংশীদার হওয়ার আহ্বান জানান এফবিসিসিআই সভাপতি। তিনি বলেন, বাংলাদেশের জ্বালানি ও বিদ্যুৎ, বস্ত্র ও পোশাক, নির্মাণখাত, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, হালকা প্রকৌশল, হোম অ্যাপ্লায়েনস, ওষুধ, হস্তশিল্প, ব্লু এনার্জি, অ্যকোয়া কালচার, ফিশারিজ, শিপিং, অফশোর তেল-গ্যাস অনুসন্ধান খাতে ওমানের ব্যবসায়ীদের জন্য বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।
বাংলাদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ শ্রমশক্তি নেয়ায় ওমানের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান এফবিসিসিআই সভাপতি। তিনি জানান, এ পর্যন্ত ওমানে ১.৫৪ মিলিয়ন বাংলাদেশী কাজ করছেন। করোনা মহামারীর মধ্যেও ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৫২,৯৩৩ জন বাংলাদেশী ওমান গিয়েছেন, যা মোট প্রবাসী কর্মসংস্থানের ১০.৬০ শতাংশ। বাংলাদেশ থেকে চিকিৎসক ও নার্স নেয়ার আহ্বান জানান এফবিসিসিআই সভাপতি।
ভবিষ্যতে ওমানের ব্যবসায়ীদের সাথে বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের বিটুবি মিটিং, ট্রেড ফেয়ার, অ্যানুয়াল বিজনেস মিট আয়োজনের মধ্য দিয়ে দুদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরো জোরদার করার আশা প্রকাশ করেন তিনি। এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ওমানের ব্যবসায়ীদের সর্বাত্মক সহায়তা করতে প্রস্তুত এফবিসিসিআই।