You are currently viewing অর্থনীতিতে কোভিড-১৯ এর নেতিবাচক প্রভাব রোধকল্পে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক  ঘোষিত ঋণ সহায়তা প্যাকেজসমূহ বাস্তবায়নে ব্যাংকসমূহ কর্তৃক করণীয় প্রসংগে।

অর্থনীতিতে কোভিড-১৯ এর নেতিবাচক প্রভাব রোধকল্পে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ঘোষিত ঋণ সহায়তা প্যাকেজসমূহ বাস্তবায়নে ব্যাংকসমূহ কর্তৃক করণীয় প্রসংগে।

  • Post comments:0 Comments

ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ
বাংলাদেশ ব্যাংক
প্রধান কার্যালয়, ঢাকা।

বিআরপিডি সার্কুলার লেটার নং- ৩২
তারিখঃ ১৮ জুন ২০২০, ০৪ আষাঢ় ১৪২৭

ব্যবস্থাপনা পরিচালক/প্রধান নির্বাহী
বাংলাদেশে কার্যরত সকল তফসিলি ব্যাংক।

প্রিয় মহোদয়,

অর্থনীতিতে কোভিড-১৯ এর নেতিবাচক প্রভাব রোধকল্পে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ঘোষিত ঋণ সহায়তা প্যাকেজসমূহ বাস্তবায়নে ব্যাংকসমূহ কর্তৃক করণীয় প্রসংগে।

কোভিড-১৯ এর প্রাদুভার্ব মোকাবেলায় ও অর্থনৈতিক কর্মকান্ড পুনরুজ্জীবিতকরণের লক্ষ্যে সরকার কর্তৃক এ পর্যন্ত ১,০৩,১১৭
কোটি টাকার আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। উক্ত প্যাকেজসমূহের মধ্যে রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য বিশেষ তহবিল, কৃষি ভর্তুকী, বিনামূল্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ, গৃহহীন মানুষের জন্য গৃহ নির্মাণ, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর স্থগিত সুদের উপর ভর্তুকীসহ ইত্যাদি খাতে সরকারের রাজস্ব খাত হতে অর্থায়ন করা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত কটেজ, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারী উদ্যোক্তা এবং শিল্প ও সার্ভিস সেক্টরের প্রতিষ্ঠানসমূহের জন্য ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল সুবিধা বাবদ যথাক্রমে ২০,০০০ কোটি ও ৩০,০০০ কোটি টাকার প্যাকেজ বাস্তবায়নে ব্যাংকের নিজস্ব তহবিল ব্যবহৃত হবে যার বিপরীতে সরকার কর্তৃক সুদ ভর্তুকী প্রদান করা হবে। এছাড়াও দেশের ব্যাংকিং সেক্টরের তারল্যের অবস্থা স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে উল্লিখিত ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল সুবিধার বিপরীতে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক প্রি-শিপমেন্ট ক্রেডিট, নিম্ন আয়ের পেশাজীবী কৃষক/ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও কৃষি খাতসহ বিভিন্ন খাতে পুনঃঅর্থায়ন স্কীম চালু করা হয়েছে।

০২। অর্থনীতিতে কোভিড-১৯ এর নেতিবাচক প্রভাব রোধকল্পে বাংলাদেশ সরকার অগ্রাধিকার খাত বিবেচনায় আর্থিক সহায়তা
প্যাকেজ প্রবর্তনসহ নানামুখী কার্যক্রম ইতোমধ্যে গ্রহণ করেছে যার অধিকাংশই ব্যাংক ব্যবস্থার মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। উক্ত
কার্যক্রমসমূহ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার নিমিত্তে ব্যাংকসমূহের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক প্রণীত প্যাকেজসমূহের সম্যক ধারণা থাকা আবশ্যক। তাছাড়া, প্যাকেজসমূহের যথার্থ বাস্তবায়নকল্পে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়সহ সকল শাখা ও উপশাখার বিভিন্ন কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সম্পৃক্ত করাও অত্যন্ত জরুরী। অন্যথায় প্যাকেজসমূহের বাস্তবায়ন কাংখিত মাত্রায় পৌঁছানো সম্ভবপর হবে না, যা কাম্য নয়।এতদপ্রেক্ষিতে, উল্লিখিত প্রণোদনা প্যাকেজসমূহ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নিম্নবর্ণিত নির্দেশনাসমূহ অনুসরণীয় হবেঃ

ক) কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ঋণ/বিনিয়োগ গ্রহীতার আবেদন স্বল্পতম সময়ের মধ্যে যাচাই-বাছাইপূর্বক দ্রুত ঋণ/বিনিয়োগ মঞ্জুর/বিতরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। প্রযোজ্য বিধি-বিধানের আলোকে ঋণ/বিনিয়োগ প্রদান সম্ভবপর না হলে সে ক্ষেত্রে স্বল্পতম সময়ের মধ্যে আবেদনকারীকে বিষয়টি জানানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে;

খ) ঋণ/বিনিয়োগ আবেদনকারীদেরকে সহায়তা করার লক্ষ্যে প্রতিটি শাখায় আবশ্যিকভাবে একটি স্বতন্ত্র “হেল্প ডেস্ক” গঠন
করতে হবে এবং সহজে দৃষ্টিগোচর হয় এমন স্থানে আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজ সংক্রান্ত তথ্যাাদি প্রদর্শন করতে হবে;

গ) প্রণোদনা প্যাকেজসমূহের সার্বিক মনিটরিং কার্যক্রম ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীর সরাসরি তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হবে;

ঘ) দেশের এই কঠিন পরিস্থিতিতে অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে ব্যাংক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ভূমিকা অগ্রগণ্য ও অনস্বীকার্য।
ব্যাংক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ব্যতীত দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানো এবং জিডিপির কাংখিত লক্ষ্য অর্জন সম্ভবপর হবে না। এতদপ্রেক্ষিতে, ব্যাংক কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অধিকতর উজ্জীবিত হয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ঋণ প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নে যাতে অগ্রগণ্য ভূমিকা পালন করতে পারে সে লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সকল উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য ব্যাংকসমূহকে নির্দেশনা প্রদান করা হলো।

০৩। ব্যাংক কোম্পানী আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করা হলো।

এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে।

আপনাদের বিশ্বস্ত,

মোঃ নজরুল ইসলাম
মহাব্যবস্থাপক
ফোনঃ ৯৫৩০২৫২

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.