You are currently viewing নভেল করোনা ভাইরাস (COVID-19) এর প্রাদুর্ভাবের কারণে বাংলাদেশে সম্ভাব্য অর্থনৈতিক প্রভাব মোকাবেলায় আর্থিক প্রণোদনা প্রসঙ্গে।

নভেল করোনা ভাইরাস (COVID-19) এর প্রাদুর্ভাবের কারণে বাংলাদেশে সম্ভাব্য অর্থনৈতিক প্রভাব মোকাবেলায় আর্থিক প্রণোদনা প্রসঙ্গে।

ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ
বাংলাদেশ ব্যাংক
প্রধান কার্যালয়
ঢাকা।

তারিখঃ ২৫ জুন ২০২০, ১১ আষাঢ় ১৪২৭
বিআরপিডি সার্কুলার লেটার নং-৩৩

ব্যবস্থাপনা পরিচালক/প্রধান নির্বাহী
বাংলাদেশে কার্যরত সকল তফসিলি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান।

প্রিয় মহোদয়,

নভেল করোনা ভাইরাস (COVID-19) এর প্রাদুর্ভাবের কারণে বাংলাদেশে সম্ভাব্য অর্থনৈতিক প্রভাব মোকাবেলায় আর্থিক প্রণোদনা প্রসঙ্গে।

শিরোনামোক্ত বিষয়ে ১২ এপ্রিল ২০২০ তারিখে জারিকৃত বিআরপিডি সার্কুলার নং-০৮, ০৩ মে ২০২০ তারিখে জারিকৃত বিআরপিডি সার্কুলার লেটার নং-২২, ১০ মে ২০২০ তারিখে জারিকৃত বিআরপিডি সার্কুলার লেটার নং-২৫ এবং ১১ জুন ২০২০ তারিখে জারিকৃত বিআরপিডি সার্কুলার লেটার নং-৩০ এর প্রতি আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা যাচ্ছে।

০২। বিআরপিডি সার্কুলার নং-০৮/২০২০ এর অনুচ্ছেদ ২(গ), ৫(ক) হতে ৫(গ), ৬(ক) এবং ৭(ঘ) এ আলোচ্য প্যাকেজের আওতায় গ্রাহক পর্যায়ে প্রতিটি ঋণ/বিনিয়োগের সীমা ও মেয়াদ সংক্রান্ত বিষয়াবলী বর্ণিত রয়েছে। আলোচ্য প্যাকেজের আওতায় করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত অধিক সংখ্যক প্রতিষ্ঠানসমূহের অনুকূলে ঋণ/বিনিয়োগ সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে উক্ত প্রতিষ্ঠানসমূহকে গতিশীল ও পুনরুজ্জীবিত করা সম্ভব হবে মর্মে আশা করা যাচ্ছে। এক্ষণে, ক্ষতিগ্রস্ত অধিক সংখ্যক প্রতিষ্ঠানসমূহের অনুকূলে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল বাবদ ঋণ/বিনিয়োগ সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যে নিম্নবর্ণিত সিদ্ধান্তসমূহ
গৃহীত হয়েছেঃ

ক) এ প্যাকেজের আওতায় সাধারণভাবে ঋণগ্রহীতা/গ্রাহক পর্যায়ে প্রতিটি ঋণ/বিনিয়োগের মেয়াদ হবে সর্বোচ্চ ১(এক) বছর। বিআরপিডি সার্কুলার নং-০৮/২০২০ অনুযায়ী ঋণ/বিনিয়োগের প্রাপ্যতার সমপরিমাণ অর্থ কোন গ্রাহকের অনুকূলে এক বছরে প্রদান করা সম্ভবপর না হলে অবশিষ্ট প্রাপ্য অর্থ আলোচ্য প্যাকেজের অবশিষ্ট মেয়াদের মধ্যে ঋণ/বিনিয়োগ হিসেবে প্রদান করা যাবে।

খ) বিদ্যমান ঋণ/বিনিয়োগ গ্রহীতা/গ্রাহক পর্যায়ে মোট ঋণ/বিনিয়োগের পরিমাণ কোনোভাবেই ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখ ভিত্তিক ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল বাবদ মঞ্জুরীকৃত/প্রদত্ত সীমার ৩০% এর বেশী হবে না। তাছাড়া নতুন ঋণ/বিনিয়োগ গ্রহীতার ক্ষেত্রেও বিদ্যমান নীতিমালার আওতায় ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল বাবদ ঋণ/বিনিয়োগের প্রাপ্যতা সীমার ৩০% এর অধিক হবে না।

গ) ব্যাংক কর্তৃক কোন ঋণ/বিনিয়োগ গ্রহীতাকে যেভাবেই ঋণ/বিনিয়োগ প্রদান করা হোক না কেন (এককালীন অথবা প্যাকেজের মেয়াদে একাধিক বছরে প্রদত্ত হয়ে থাকলে) একজন গ্রাহকের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংক এ সার্কুলার লেটারের অনুচ্ছেদ ২(খ)-এ বর্ণিত মোট সীমার মধ্যে প্রদত্ত ঋণ/বিনিয়োগের উপর সুদ/মুনাফা ভর্তুকী প্রাপ্য হবেন।

০৩। সূত্রোস্থ সার্কুলার ও সার্কুলার লেটারসমূহে বর্ণিত অন্যান্য নির্দেশনাবলী অপরিবর্তিত থাকবে।

০৪। ব্যাংক কোম্পানী আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারা ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করা হলো।

০৫। এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে।

আপনাদের বিশ্বস্ত,


(মোঃ নজরুল ইসলাম)
মহাব্যবস্থাপক
ফোনঃ ৯৫৩০২৫২