You are currently viewing Covid 19 FBCCI Health Advisory Protocols

Covid 19 FBCCI Health Advisory Protocols

  • Post comments:0 Comments

Covid 19 FBCCI Health Advisory Protocols

(কোভিড ১৯ এফবিসিসিআই হেলথ এ্যাডভাইজরি প্রটোকলস্)

অফিস/বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান/কারখানা খোলার পূর্বে করণীয়ঃ

  • কর্মস্থল (অফিস ভবন ও আশেপাশের এলাকা) জীবানুনাশক দিয়ে স্যানেটাইজ/জীবানুমুক্ত করা;
  • ফার্নিচার (চেয়ার, টেবিল, ফাইল কেবিনেট ইত্যাদি), অফিস ইক্যুইপমেন্ট (কম্পিউটার, ফটোকপি মেশিন, স্ক্যানার ইত্যাদি), কলকারখানায় ব্যবহৃত মেশিনপত্র, লিফ্ট জীবানুনাশক দিয়ে স্যানেটাইজ/জীবানুমুক্ত করা;
  • কর্মস্থল সম্পূর্ন জীবানুমুক্ত করে এ কাজে ব্যবহৃত টিস্যু/কাপড় ফেলে দেয়া এবং অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরিয়ে ফেলা;
  • নিরাপদ সামাজিক/শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার লক্ষ্যে কর্মীদের বসার স্থান/কারখানার শ্রমিকদের দায়িত্ব পালনের স্থান এমনভাবে পুনর্বিন্যাস করা যেন একে অপরের মধ্যে ৩ ফুট দুরত্ব বজায় থাকে;
  • হাত ধোয়ার জন্য হাত ধোয়ার স্থান নিশ্চিত করা ও পর্যাপ্ত সাবান ও স্যানিটাইজার নিশ্চিত করা;
  • কর্মস্থল সার্বক্ষনিক জীবানুমুক্ত রাখার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক জীবানুনাশক স্প্রে মেশিন নিশ্চিত করা;
  • বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান/কারখানার ওয়াকিং ডিসটেন্স (হাটা পথ দূরত্ব) এর বাহিরে বসবাসকারী কর্মীদের পরিবহণের জন্য যথাসম্ভব প্রয়োজনীয় গাড়ীর ব্যবস্থা করা এবং গাড়ী জীবানুনাশক দিয়ে জীবানুমুক্ত করা;
  • সামাজিক/শারীরিক দূরত্ব মেনে যাতে কর্মীরা অফিস/কারখানায় সুশৃংখলভাবে প্রবেশ এবং বাহির হতে পারে সে ব্যবস্থা নেয়া। সম্ভব হলে প্রবেশ এবং বাহির গেইট আলাদা করে দেয়া;
  • অভ্যর্থনাকারী/গার্ড/ক্লিনার ও পিয়নদের জন্য মাস্ক, হ্যান্ড গ্লোভস ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য নিরাপত্তা সামগ্রী নিশ্চিত করা;
  • অফিসের সকল কর্মকর্তা, কর্মচারী ও কারখানার শ্রমিকদের জন্য মাস্ক নিশ্চিত করা;
  • কর্মীদের অফিসে প্রবেশের পূর্বে তাপমাত্রা পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক ইনফ্রারড থার্মোমিটার/থার্মার স্ক্যানিং মেশিন নিশ্চিত করা;
  • অফিস/কারখানা খোলার পূর্বেই স্বাস্থ্য বিধি সম্পর্কে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদেরকে অবগত করা।

অফিস/বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান/কারখানা চলাকালীন সময়ে করণীয়ঃ

সাধারণ নির্দেশনাঃ

  • সীমিত সংখ্যক কর্মী নিয়ে অফিস/কারখানা পরিচালনা করা। প্রয়োজনে শিফটিং আকারে যেমন- ৩ দিন/৭ দিন করে গ্রুপিং করে অফিস/কারখানা পরিচালনা করা;
  • অফিসে সার্বক্ষণিক মাস্ক পরে থাকা;
  • কোনভাবেই হাত মিলানো (হ্যান্ডশেক)/কোলাকুলি না করা;
  • কারও স্বাভাবিক হালকা জ্বর (৯৯ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা তার বেশি), সর্দি, কাশি অথবা করোনার যেকোন
    উপসর্গ দেখা দিলে অফিসে না এসে তৎক্ষণাৎ কর্তৃপক্ষকে জানানো এবং বাসা থেকে অনলাইনে অফিস
    করার অনুমতি নেয়া;
  • অতীব জরুরী না হলে দেশের বাহিরে বা দেশের অভ্যন্তরে সকল ধরণের দাপ্তরিক ও ব্যবসায়িক ভ্রমন স্থগিত রাখা;
  • হাঁচি-কাশি দেওয়ার সময় বাঁকানো কনুই/টিস্যু দিয়ে নাক ও মুখ আবদ্ধ করা এবং ব্যবহৃত টিস্যু তৎক্ষণাৎ
    নির্ধারিত ডাস্টবিনে ফেলা;
  • এক ঘন্টা পর পর কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড হাত ধৌত করা ও হাত দিয়ে নাক – মুখ স্পর্শ না করা;
  • অফিসে ব্যাগ নিয়ে না আসা (বিভিন্নহিসাব বিভাগ কর্তৃক মনোনীত ব্যক্তি যারা ব্যাংক এ যাতায়াত করবে
    তাদের ক্ষেত্রে ইহা প্রযোজ্য নয়);
  • ডাইনিং/ক্যান্টিনে সামাজিক/শারীরিক দূরত্ব (৩ ফুট) বজায় রাখা।সকলের জন্য তৈজষপত্র (প্লেট, গ্লাস
    ইত্যাদি) সুনির্দিষ্ট করে নির্ধারণ করে দেয়া। প্রয়োজনে বাসা থেকে খাবার নিয়ে আসতে পারবে; খাওয়ার
    জন্য বাহিরে যাওয়া যাবে না;
  • ডিজপোজেবল কাপে/গ্লাসে চা/খাবার পানি পান করার ব্যবস্থা করা;
  • সামাজিক/শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে নিজ দায়িত্বে নামায আদায় করা;
  • সন্তান সম্ভবা কর্মকর্তাগন ও মহিলা কর্মকর্তা যাদের বাচ্চা ডে-কেয়ারে নিবন্ধিত তারা বাসা থেকে অনলাইনে অফিস করতে পারবেন (সন্তান সম্ভবাদের জন্য ডাক্তারের লিখিত পরামর্শ থাকা আবশ্যক);
  • নিজে সচেতন থাকা ও সহকর্মীদের করোনাভাইরাস সম্পর্কে সচেতন করা;
  • স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার বিষয়ে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান/কারখানার অভ্যন্তরে মনিটরিং করার জন্য মনিটরিং
    টীম/এনফর্সিং টীম গঠন করা। কমিউনিটি অপারেশনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট এসোসিয়েশন/সমিতির তদারকি
    কমিটি থাকবে। প্রতিষ্ঠান/কারখানার বাহিরে স্বাস্থ্য বিধির বিষয়গুলি আইন-শৃংখলা বাহিনী বা স্থানীয়
    প্রশাসনের তদারকির আওতায় থাকবে।

অফিসে প্রবেশের সময় করণীয়ঃ

  • অফিসে প্রবেশের পূর্বে নির্ধারিত সামাজিক/ শারীরিক দূরত্ব মেনে মাস্ক পরে সুশৃঙ্খলভাবে দাঁড়ানো;
  • অফিসে প্রবেশের পূর্বে জুতায় জীবাণুনাশক স্প্রে ব্যবহার নিশ্চিত করা ও তাপমাত্রা পরীক্ষা করা (এক্ষেত্রে
    নিরাপত্তাকর্মীদের সহযোগীতা করা);
  • মেইন গেইট দিয়ে প্রবেশ করে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা (এর আগে কোথাও স্পর্শ না করা);
  • কার্ড ব্যবহার করে অথবা নির্দেশনা মেনে অফিসে প্রবেশ করা;
  • লিফট ব্যবহার যথাসম্ভব পরিহার করে নির্ধারিত দূরত্ব মেনে সিঁড়ি ব্যবহার করা;
  • একই সময়ে বড় লিফটে সর্বোচ্চ ৪ জন এবং ছোট লিফটে সর্বোচ্চ ২ জন যাতায়াত করা;
  • লিফট-এর বাটন ভিতরের যাত্রীদের যেকোন একজন টিস্যু/রুমাল ব্যবহার করে প্রেস করবে।

ডেস্ক-এ বসার সময় ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখায় করণীয়ঃ

  • বসার পূর্বে কী-বোর্ড, মাউস, স্টেশনারী ইত্যাদি টিস্যু/ স্যানিটাইজার দিয়ে নিজ দায়িত্বে পরিষ্কার করা;
  • মুখোমুখী না বসে নির্ধারিত দূরত্ব মেনে বসা;
  • অন্যজনের চেয়ার, টেবিল, কী-বোর্ড, মাউস, স্টেশনারী ইত্যাদি ব্যবহার না করা;
  • অবশ্যই নূন্যতম ৩ ফিট দূরত্ব বজায় রাখা।

ওয়াশ রুম ব্যবহারে করণীয়ঃ

  • ওয়াশ রুম প্রতি ঘন্টায় জীবানুমুক্ত করা। নির্ধারিত ক্লিনার দ্বারা প্রতি ঘন্টায় পরিস্কার/জীবানুমুক্ত করা। ক্লিনারদের জন্য মাস্ক, হ্যান্ডগ্লোভস ও অন্যান্য স্বাস্থ্য নিরাপত্তামূলক সরঞ্জামাদি নিশ্চিতকরন;
  • দরজা/হ্যান্ডেল টাচ করার সময় টিস্যু/রুমাল/স্যানিটাইজার ব্যবহার করা;
  • পানির ট্যাপ ব্যবহারের পরে হাত অন্তত ২০ সেকেন্ড পরিষ্কার করা;
  • ওয়াশরুম ব্যবহারের পর পরিষ্কার করে রাখা (ওয়াশরুম ব্যবহারের সাধারণ নিয়ম কঠোরভাবে মেনে চলা);
  • যেখানে-সেখানে অপ্রয়োজনীয় স্পর্শ না করা।

ফাইল ম্যানেজমেন্ট, আদান-প্রদান ও অন্যান্য যোগাযোগে করণীয়ঃ

  • ফাইল আদান-প্রদানে যথাসম্ভব ই-মেইল বা অন্য কোন ই-মাধ্যম ব্যবহার করা;
  • যথাসম্ভব প্রিন্ট পরিহার করা; ফাইল স্থানান্তর/হস্তান্তর/গ্রহণ/স্বাক্ষরের পূর্বে ও পরে হাত সাবান দিয়ে অন্তত
    ২০ সেকেন্ড ধরে ধোয়া/স্যানিটাইজার ব্যবহার করা;
  • সরাসরি যোগাযোগ (ফিজিক্যাল কমিউনিকেশন) যথাসম্ভব পরিহার করা;
  • মেইল, ফোন, পিএবিএক্স অথবা অন্যান্য অ্যাপ ব্যবহার করা (ডিভাইস ব্যবহারের পর সাবান দিয়ে হাত
    ধোয়া/স্যানিটাইজার ব্যবহার করা);
  • অন্য কারও ডিভাইস স্পর্শ/রিসিভ করা থেকে বিরত থাকা;
  • সরাসরি যোগাযোগের ক্ষেত্রে নির্ধারিত দূরত্ব বজায় রাখা ;
  • ইনফরমাল কমিউনিকেশন (কুশল বিনিময় ও অন্যান্য) পরিহার করা;
  • মিটিং রুম নিয়মিত পরিষ্কার রাখা;
  • সরাসরি মিটিং-এ কমপক্ষে ৩ ফিট দূরত্ব বজায় রেখে বসা ও মুখোমুখী না বসা;
  • যথাসম্ভব সরাসরি মিটিং পরিহার করে অনলাইন এ মিটিং করা।

অফিস বাস ও নিজস্ব পরিবহন ব্যবহারে করণীয়ঃ

  • যানবাহনের বসার সিট, জানালা, দরজা, এবং ফ্লোর নিয়মিত পরিষ্কার রাখা;
  • সব সময় মাস্ক ব্যবহার করা;
  • দুই সিটে একজন বসা (নির্ধারিত দূরত্ব বজায় রাখা);
  • হাঁচি ও কাশির শিষ্টাচার কঠোরভাবে বজায় রাখা;
  • স্টাফ বাস অফিসে আসার পর বাসের চাকা, হ্যান্ডেল ইত্যাদি জীবাণুনাশক দিয়ে জীবাণুমুক্ত করা।

অফিসের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় করণীয়ঃ

  • যার যার জিনিসপত্র যেমন- পিএবিএক্স, কী-বোর্ড, মাউস, স্টেশনারী ইত্যাদি নিজ দায়িত্বে পরিষ্কার রাখা;
  • অফিসের সকল জায়গা ও আসবাবপত্র যেমন-বাথরুম, ফ্লোর, ক্যান্টিন, লিফট ইত্যাদি নিয়মিত পরিষ্কার
    রাখা (ক্লিনারদের সঠিকভাবে মনিটরিং করা);
  • কিছুক্ষণ পর পর দরজার হ্যান্ডেল, লিফটের বাটন ইত্যাদি পরিষ্কার করা;
  • অভ্যর্থনা কক্ষে বসার জায়গাগুলোর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় অতিরিক্ত নজর দেয়া;
  • পার্কিং-এ যেকোন গাড়ি প্রবেশ করলে গাড়ির চাকা ও হ্যান্ডেল জীবাণুনাশক দিয়ে জীবাণুমুক্ত করা;

অতিথি ও কাস্টমার বিষয়ে করণীয়ঃ

  • অতীব প্রয়োজন ছাড়া কাস্টমার ও ডিলার ব্যতিত অন্য কোন অতিথিকে অফিসে আমন্ত্রণ পরিহার করা;
  • একই সময়ে একাধিক অতিথি অভ্যর্থনা কক্ষে থাকবে না (অত্যাবশ্যক ক্ষেত্রে সামাজিক/শারীরিক দূরত্ব ৩ ফিট কঠোরভাবে নিশ্চিত করতে হবে);
  • অফিসে আগত অতিথিদের অবশ্যই প্রবেশের সময় জুতায় জীবাণুনাশক স্প্রে করা;
  • জীবাণুনাশক দিয়ে হাত পরিষ্কার করানো;
  • অতিথিদের মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করা;
  • গ্রাউন্ড ফ্লোরের অভ্যর্থনা কক্ষেই অতিথিদের কার্যক্রম সম্পন্নকরা;
  • অতিথিদের সাথে সাক্ষাতের সময় অবশ্যই নির্ধারিত দূরত্ব বজায় রাখা।

অফিসের ভিতর চলাফেরায় করণীয়ঃ

  • অফিসের ভিতর যথাসম্ভব চলাফেরা না করা;
  • এক ফ্লোর থেকে অন্য ফ্লোরে যাতায়াতের জন্য বিভাগীয় প্রধান অথবা বিভাগীয় প্রধান কর্তৃক মনোনীত
    ব্যক্তির অনুমোদন নেয়া;
  • চলাচলের ক্ষেত্রে অবশ্যই নির্ধারিত সামাজিক/শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা;
  • এক ফ্লোর থেকে অন্য ফ্লোরে গমন করলে অবশ্যই হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে প্রবেশ
    করা।

সিকিউরিটি গার্ড ও ক্লিনারদের জন্য করণীয়ঃ

  • অর্পিত দায়িত্ব যথাযথ পালন করবে;
  • অবশ্যই মাস্ক, গ্লোভস ইত্যাদি পরিধান করে থাকবে।

খাতভিত্তিক শিল্প প্রতিষ্ঠান, বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠানের জন্য করণীয়ঃ

(ক) শিল্প কারখানার জন্য করণীয়ঃ

  • কারখানা ভবন ও মেশিনপত্র জীবানুনাশক দিয়ে জীবানুমুক্তকরণ;
  • মেশিনপত্র এমনভাবে পুনর্বিন্যাস করা যাতে কর্মীদের সামাজিক/শারীরিক দূরত্ব ৩ ফুট বজায় থাকে;
  • সীমিত সংখ্যায় শ্রমিক নিয়ে উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালনা করা। প্রয়োজনে শিফটিং করে কার্যক্রম
    পরিচালনা করা;
  • সুশৃংখলভাবে সামাজিক/শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে শ্রমিক কর্মচারীদের কারখানায় প্রবেশ ও বাহির নিশ্চিত করা;
  • প্রবেশের সময় শ্রমিকদের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা;
  • শ্রমিকদের মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লোভস পরিধান নিশ্চিত করা;
  • কারখানায় প্রবেশ গেটে এবং অভ্যন্তরে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখা;
  • কারখানায় পর্যাপ্ত বায়ু নির্গমন/ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা করা;
  • কোন শ্রমিক কর্মচারী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের জন্য আইসোলেশন রুমের ব্যবস্থা রাখা;
  • শ্রমিক কর্মচারীকে নিয়মিত পরিস্কার পরিচ্ছন্ন কাপড় পরিধানে উৎসাহিত করা;
  • কারখানায় প্রবেশের পূর্বে সকল কন্টেইনার, পরিবহন এবং মালামাল জীবানুনাশক দিয়ে জীবানুমুক্তকরন;
  • শ্রমিক কর্মচারীদের জন্য ব্যবহৃত ভেহিক্যালসমূহকে নিয়মিত জীবানুমুক্তকরণ। সেসাথে গাড়ীর চালকদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তামূলক সরঞ্জামাদি নিশ্চিতকরণ;
  • চাইল্ড কেয়ার সেন্টারকে জীবানুমুক্ত রাখা এবং বেবীদের চাইল্ড কেয়ার সেন্টারে প্রবেশের সময় তাপমাত্রা পরীক্ষা করা। চাইল্ড কেয়ার সেন্টারের ত্বত্তাবধায়কের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা এবং স্বাস্থ্য নিরাপত্তামূলক সরঞ্জামাদি নিশ্চিতকরণ;
  • কারখানার গার্ডদের জন্য মাস্ক, হ্যান্ডগ্লোভস ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য নিরাপত্তামূলক সরঞ্জামাদি
    নিশ্চিতকরণ;
  • শ্রমিক/কর্মচারীদের স্বাস্থ্য সেবার জন্য নিয়োজিত চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য নিরাপত্তামূলক সরঞ্জামাদি নিশ্চিতকরণ।

(খ) মার্কেট/দোকানের ক্ষেত্রে করণীয়ঃ

  • মার্কেট/দোকান খোলার পূর্বে দোকানের আসবাবপত্র, মালপত্র, বিক্রয়যোগ্য সকল জিনিষপত্র জীবানুনাশক দিয়ে জীবানুমুক্ত করা;
  • মার্কেটে প্রবেশ এবং বাহিরের জন্য পৃথক ব্যবস্থা করা;
  • মার্কেটে প্রবেশের সময় ক্রেতা, বিক্রেতা ও সরবরাহকারীদের তাপমাত্রা পরীক্ষার জন্য ইনফ্রারড
    থার্মোমিটারের ব্যবস্থা করা;
  • ক্রেতা-বিক্রেতাগণ মার্কেটে প্রবেশ ও বাহিরের সময় যাতে সামাজিক/শারীরিক দূরত্ব ও সুশৃংখলতা বজায়
    রাখে সে বিষয় নিশ্চিতকরণ;
  • সামাজিক সংক্রমন রোধে মার্কেটের মূল গেটে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা;
  • বিক্রেতা/দোকানীদের মাস্ক ও হ্যান্ডগ্লোভস ব্যবহার নিশ্চিত করা;
  • একটি ছোট বা মাঝারী সাইজের দোকানে সর্বোচ্চ ৩-৪ জন কর্মচারী পর্যাপ্ত সামাজিক/শারীরিক দূরত্ব
    বজায় রেখে অবস্থান করবে;
  • ক্রেতাদের মাস্ক পরিধান করে মার্কেটে প্রবেশ নিশ্চিত করা;
  • প্রত্যেক দোকানে ন্যূনতম ১ মিটার বা ৩ ফুট পর পর ক্রেতা সাধারনের বসার ব্যবস্থা বা অপেক্ষার স্থান
    নিশ্চিত করা;
  • মার্কেটসমূহে ন্যায্যমূল্যে পর্যাপ্ত স্যানিটাইজার নিশ্চিত করা;
  • ব্যবহৃত মাস্ক/টিস্যু বা অন্যান্য দ্রব্যাদি ফেলার জন্য পর্যাপ্ত ডাস্টবিন এর ব্যবস্থা করা;
  • কেউ যাতে যেখানে সেখানে হাঁচি কাশি না দেয় সেজন্য মনিটরিং-এর ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ এবং এ বিষয়ে
    প্রয়োজনীয় নির্দেশনা লিখিত আকারে মার্কেটের সকল স্থানে প্রদর্শন করা;
  • মার্কেটের ফুডকোর্ট-এ সামাজিক/শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণ ও স্বাস্থ্য সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহনকরণ;
  • সম্পুর্ন মার্কেট সিসি টিভির আওতায় আনা;

(গ) সার্ভিস সেন্টার ও শো-রুমসমূহে করণীয়ঃ

  • কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং কাস্টমার সকলে জীবাণুনাশক দিয়ে হাত পরিষ্কার করবে এবং জীবাণুনাশক স্প্রে
    দিয়ে জুতা পরিষ্কার করে সার্ভিস সেন্টার বা শোরুমে প্রবেশ করবে;
  • জনসমাগম কমানোর জন্য টোকেন প্রদানের মাধ্যমে কাস্টমারদের প্রবেশের ব্যবস্থা করা যেতে পারে;
  • কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং কাস্টমারদের মধ্যে অবশ্যই অন্তত ৩ থেকে ৬ ফুট সামাজিক/শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা;
  • কাস্টমারদের মাস্ক ছাড়া প্রবেশ নিরুৎসাহীত করা; প্রয়োজনে কাস্টমারদের জন্য মাস্কের ব্যবস্থা রাখা;
  • কাস্টমারগন যাতে কোন পন্য হাতে স্পর্শ না করে তা নিশ্চিত করা;
  • বাইক/ট্রাক প্রবেশের/ডেলিভারির/সার্ভিসিং এর পূর্বে চাকা, হ্যান্ডেল ও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সার্ভিসিং এর নির্ধারিত জায়গা ইত্যাদি জীবাণুমুক্ত করে নেয়া।

(ঘ) গণপরিবহন সেক্টরের জন্য করণীয়ঃ

  • যানবাহনে যাত্রী নেওয়ার পূর্বে সম্পূর্নভাবে জীবানুনাশক ঔষধ দিয়ে জীবানুমুক্ত করে নেয়া;
  • বাসের অভ্যন্তরে নিরাপদ সামাজিক/শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে যাত্রীর আসন বিন্যাস করা;
  • গাড়ীর চালক ও সহকারিদের তাপমাত্রা ও স্বাস্থ্য পরীক্ষাপূর্বক গাড়ী চালানোর অনুমতি প্রদান;
  • গাড়ীর চালক ও সহকারিদের মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লোভস পরিধান নিশ্চিত করা;
  • গণপরিবহনের দরজার হ্যান্ডেল, সিট, জানালা প্রভৃতি জীবানুনাশক দিয়ে জীবানুমুক্ত করা;
  • যাত্রীদের মাস্ক পরিধান করা;
  • গাড়ীর চালক ও সহকারিদের শিফটিং ডিউটি নিশ্চিত করা;
  • গণপরিবহন নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর স্থানে পার্কিং করা। পার্কিং-এর সময় গাড়ীর দরজা ও জানালা বন্ধ করে
    রাখা;
  • অটো রিক্সা বা ইজি বাইকে দুই যাত্রীর মাঝে প্লাস্টিকের পর্দার ব্যবস্থা করা;
  • হট স্পটসমূহে গণপরিবহনের যাতায়াত পরিহার করা;
  • সিনিয়র সিটিজেন বা ঝুঁকিপূর্ন ব্যক্তিদের গণপরিবহনে বহন সীমিত/নিয়ন্ত্রণ করা।

কাজের উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বাহির এবং বাসায় ফিরে আসার পর করণীয়ঃ

বাসা থেকে অফিসে আসার সময় করণীয়ঃ

  • শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষাপূর্বক শারিরীক সুস্থ্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হউন;
  • মাস্ক পরিধান করুন এবং একটি অতিরিক্ত মাস্ক সাথে রাখুন;
  • হ্যান্ড গ্লোভস পরিধান করুন;
  • ছোট একটি স্যানিটাইজার বোতল সাথে রাখুন;
  • যথাসম্ভব গণপরিবহন এড়িয়ে চলুন;
  • যাতায়াতের সময় নির্ধারিতসামাজিক/শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে বসা/দাঁড়ানো/চলা।

বাসায় ফিরে আসার পর করণীয়ঃ

  • কোন কিছু স্পর্শ করার পূর্বে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলুন এবং জীবানুমুক্ত করুণ;
  • ব্যবহৃত জুতা দরজার বাহিরে রাখুন;
  • মোবাইল ফোন, চশমা, চাবি, মানিব্যাগ ইত্যাদি স্যানিটাইজ করা;
  • ব্যবহৃত মাস্ক ও গ্লোভস ঢাকনাযুক্ত ডাস্টবিনে ফেলে দিন;
  • পরিধেয় জামা-কাপড় ওয়াশ করার জন্য আলাদা করে রাখুন;
  • গোসল করে ফেলুন।

 

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.